জন্ম থেকে যখন ধীরে ধীরে বেড়ে উঠি তখন কি গভীরতা সঙ্গে নিয়ে বেড়ে উঠি? নিশ্চয়ই না। পারিপার্শ্বিকতার সঙ্গে ইন্দ্রিয়গুলো যখনই লিপ্ত হতে শুরু করে তখনই মানুষ জটিলতার আবর্তে পড়ে গভীরভাবে ভাবতে শুরু করে।
কেউ যখন জীবনের সবকিছুর প্রয়োজন কে শূন্যে নামিয়ে আনে চিন্তার কি থাকে বলে মনে হয়? যে মানুষ টা উন্মুক্ত প্রান্তরে দাঁড়িয়ে "আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে'' - উদাত্ত কন্ঠে গেয়ে উঠে হঠাৎ- কেবলমাত্র সেই ক্ষণটুকুতে কি থাকে তার মনে? তার অন্তর জুড়ে থাকে মহা-শূন্যতা। এই শূন্যতা (ফাঁকা) নয় কিন্তু, সে ঐ ক্ষণটুকুতে নিজেকে নিয়ে পূর্ণ। এই জায়গাটাই বোঝার। এই অবস্থানে খুব সরল ও সহজভাবেই একটা ভাবনা ভেবে চলতে হয়,, অন্য যা কিছুকে নিজের মধ্যে গ্রহণ করছি তা কেবলমাত্র জীবনটুকু ধারনের জন্য,, যতোটুকু ততোটুকুতেই আবদ্ধ থাকা উচিত অন্যথায় সকল বিষয়ই নিঃপ্রয়োজন। আমাদের বেদ - বেদান্ত - ঁগীতা-উপনিষদে বহুবার বহু প্রেক্ষিতে বারংবার সে কথার প্রয়োজনীয়তা বুঝিয়েছেন মুনি-ঋষিরা।যোগীরা এপথেই চলেন,, ঁগীতায় ঁভগবান বলেছেন সেকথা। আমারা সাধারণ। সাধারণের "আধার" অনুযায়ী তাঁদের মতের অনুসরণ করি মাত্র।মানুষকে মানুষ হওয়ার জন্য আজীবন সু-অনুশীলনের মধ্য দিয়েই চলতে হয় "প্রয়োজন - হীনতার" অনুশীলন একটা গুরুত্বপূর্ণ অনুশীলন,, তা নিরন্তর অভ্যাসে কোনও চাহিদা বা পিছনের টান থাকে না। বলা সহজ কিন্তু অভ্যাস করে তাতেই অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া ঠিক ততোখানিই কঠিন বা প্রায়ই অসম্ভব। তবুও ভাবগ্রাহী জনার্দন তিনি মানুষের চেষ্টাটুকু দেখেন।
Comments
Post a Comment