Skip to main content

 


আজ পবিত্র ঁশ্রীগুরুপূর্ণিমা। ঁশ্রীগুরুশিরোমণি পূজ্যপাদ শ্রীকৃষ্ণ দ্বৈপায়ন বেদব্যাস মহামুনির শ্রীচরণকমলে আমার আভূমি প্রণাম। ঁযিনি সনাতন দর্শনের স্তম্ভ- ঁবেদের জ্ঞানের গহন গভীরতাকে নতুন রূপে বিন্যাস করলেন আপামরের জন্য। ঁতাঁর কৃত পুরাণ, মহাভারত প্রভৃতি শাস্ত্রগ্রন্থের মাধ্যমে আমরা জানলাম আমার  গৌরবোজ্জ্বল উত্তরাধিকার যা তাঁর সৃষ্ট ঐতিহাসিক ঐতিহ্য - সংস্কৃতি - সভ্যতা ও জ্ঞান সমন্বিত অমরগাঁথার মধ্যে ছড়িয়ে আছে। অন্ধকার থেকে আলো পথে চলার যষ্ঠীটা চিরকালীনভাবে প্রজন্মের পর প্রজন্মের হাতে দিয়ে গেলেন সেই পরম ঁশ্রীগুরুদেব । আমরা অকিঙ্চন - তাঁর চরণে  দেবার মতো কি আছে আমাদের!!?? শুধুমাত্র শাস্ত্রগ্রন্থে  "শ্রদ্ধা"- "বিশ্বাস" ও তার অন্বেষণের জন্য,, সৎ ভাবে  সত্যের সাথে যতোটুকু পারি  "আত্মনিবেদন"- এই তিনের আত্যন্তিক চেষ্টার মাধ্যমে,, আমরা আজ ঁতাঁকে প্রকৃত ঁগুরুপ্রণাম করি । ঁতাঁরই দেখানো পথে সেই সুদূর অতীত থেকে আজ পর্যন্ত যে গুরু - আচার্য্যেরা আমাদের সকল ভুল দোষত্রুটি সংশোধন করে,, আমাদের এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন আলোর দিকে,, তাঁদেরকে আমার সশ্রদ্ধ প্রণাম। ভালোমন্দ মিশানো যে "আমারা" - সকল সময় তাঁদের আশীর্বাদপ্রার্থী ।আমরা সকলে যেন আনন্দে থাকি,, দেহ-মনে সুস্থ থাকি  ঁঈশ্বরের চরণে এই প্রার্থনা করি ।

Comments

Popular posts from this blog

Post No - 001

  জন্ম থেকে যখন ধীরে ধীরে বেড়ে উঠি তখন কি গভীরতা  সঙ্গে নিয়ে বেড়ে উঠি? নিশ্চয়ই না। পারিপার্শ্বিকতার সঙ্গে  ইন্দ্রিয়গুলো যখনই লিপ্ত হতে শুরু করে তখনই মানুষ জটিলতার আবর্তে পড়ে গভীরভাবে ভাবতে শুরু করে। কেউ যখন জীবনের সবকিছুর প্রয়োজন কে শূন্যে নামিয়ে আনে চিন্তার কি থাকে বলে মনে হয়? যে মানুষ টা উন্মুক্ত প্রান্তরে দাঁড়িয়ে  "আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে'' - উদাত্ত কন্ঠে গেয়ে উঠে হঠাৎ- কেবলমাত্র সেই ক্ষণটুকুতে কি থাকে তার মনে? তার অন্তর জুড়ে থাকে মহা-শূন্যতা। এই  শূন্যতা (ফাঁকা) নয় কিন্তু, সে ঐ ক্ষণটুকুতে নিজেকে নিয়ে পূর্ণ। এই জায়গাটাই বোঝার। এই অবস্থানে খুব সরল ও সহজভাবেই একটা ভাবনা ভেবে চলতে হয়,, অন্য যা কিছুকে নিজের মধ্যে গ্রহণ করছি তা কেবলমাত্র জীবনটুকু ধারনের জন্য,, যতোটুকু ততোটুকুতেই আবদ্ধ থাকা উচিত অন্যথায়   সকল বিষয়ই নিঃপ্রয়োজন। আমাদের বেদ - বেদান্ত - ঁগীতা-উপনিষদে বহুবার বহু প্রেক্ষিতে বারংবার সে কথার প্রয়োজনীয়তা বুঝিয়েছেন মুনি-ঋষিরা।যোগীরা এপথেই চলেন,, ঁগীতায় ঁভগবান বলেছেন সেকথা। আমারা সাধারণ। সাধারণের "আধার" অনুযায়ী তাঁদের মতের...

যা পরিবর্তনীয় তা সত্য নয়

 মার্জিত - অমার্জিত ভালো- মন্দ, ঠিক - বেঠিক এগুলো আপেক্ষিক। সময়,, পরিস্থিতি, ঘটনা ভেদে,, মানুষ ভেদে এগুলোর আলাদা আলাদা রূপ হয়। ক্রিয়াশীলও হয় নানান ভাবে। "পরিবর্তনীয়"। পরিবর্তনীয় কিছুই সত্য ও চিরন্তন হয় না। স্থায়ী নয় বলেই সেগুলোকে ধারণ বা গ্রহণ করতে নেই। ঘটনার প্রবাহ বলে ধরলে তার থেকে সমস্যাও নেই।
 প্রশ্ন :  সত্য কি!?? একজনের কাছে যা সত্য অন্যজন তাকে অসত্য বলে এই প্রেক্ষিতে সকল পরিস্থিতিতে বা সকলের জন্য  সত্যের সংজ্ঞা কি? 🙏পূজ্যপাদ তদ্রুপানন্দজী মহারাজ 🙏 সত্য দুই প্রকার,,,আপেক্ষিক সত্য আর নিত্য সত্য,,,আবার আপেক্ষিক সত্যকেও সত্য তখন বলা হয়,,,যখন তা নিত্য সত্যকে কেন্দ্র করে বারবার আবর্তিত হতে থাকে,,,কিন্তু তা অনিত্য,,,তাই আপেক্ষিক,,,। কারণ তার লয় ক্ষয় আছে,,,। একমাত্র যা অব্যয় অক্ষয় অপরিণামি এবং বিকাররহিত,,,তাই নিত্য ,,, তাই সত্য,,,এক কথায় একমাত্র ঈশ্বরই সত্য,,,বাকি সব অনিত্য,,,। নিত্য সত্যকে কেন্দ্র করেই,,,বাকি সব কিছু আবর্তিত হচ্ছে,,,যেমন জগৎ,,,। আর জগৎ প্রত্যক্ষ,,,। তাই আমাদের কাছে তা সত্য বলে প্রতীত হচ্ছে,,,। কারণ আমরা অজ্ঞান অবস্থায় আছি,,,যেমন স্বপ্নাবস্থা,,,। যতক্ষণ স্বপ্ন দেখছি,,,মনে হচ্ছে সত্যি,,,। ঘুম ভাঙলে দেখছি তা মিথ্যা ছিল,,,। তেমনি নিত্য বস্তুর জ্ঞান লাভ হলে,,,আমরা দেখবো,,,আজকে যা সত্যি বলে ভাবছি,,,তা অজ্ঞান জনিত মোহ,,, এই অজ্ঞানান্ধকার দূর হলে দেখবো,,,একমাত্র ঈশ্বরই সত্য,,,আর সব অনিত্য,,,।